আখেরি চাহার শোম্বা’র কী?
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
আরবি সফর মাসের শেষ বুধবার আখেরি চাহার শোম্বা। বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে সর্বশেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এদিন রোগ থেকে মুক্তিলাভ করেন এবং এরপর তিনি গোসল করেন। এরপর আরও বেশি অসুস্থ হওয়ার ফলে রাসূল (সা.) এর পক্ষে আর গোসল করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় ১২ রবিউল আউয়াল তিনি শাহাদাত বরণ করেন। এ কারণে এই শেষ বুধবারকে মুসলমানদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে গণ্য করা হয় ।
হজরত নবী করিম (সাঃ) দুনিয়া থেকে বিদায় নেবার আগের সফর মাসের শেষ সপ্তাহে ভীষণভাবে অসুস্থ হযে পড়েন।এরপর সুস্থ হয়ে তিনি সফর মাসের শেষ বুধবারে গোসল করেন এবং মসজিদে নববীতে গিয়ে নামাজের ইমামতি করেন। প্রিয় নবীকে দেখে সবাই খুব খুশি হলেন। এ উপলক্ষে অনেকে খুশি হয়ে দান-খয়রাত করলেন।
আবু বকর (র:) খুশি হয়ে ৭ হাজার দিনার, হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (র:) ৫ হাজার দিনার, হজরত ওসমান (র:) ১০ হাজার দিনার, হজরত আলী (র:) ৩ হাজার দিনার এবং হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (র:) ১০০ উট ও ১০০ ঘোড়া আল্লাহর ওয়াস্তে দান করিয়াছিলেন। এরপর থেকে সমগ্র মুসলিমরা সাহাবীদের এই দেখানো পথ অনুসরণ করে আসছেন।হজরত নবী করিম (সাঃ) এর এই দিনের গোসলই জীবনের শেষ গোসল ছিল। এরপর জীবিত অবস্থায় তিনি আর গোসল করতে পারেননি।
ঐতিহাসিক ইবনু ইসহাক বলেনঃ “রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যে অসুস্থতায় ইন্তেকাল করেন, সেই অসুস্থতার শুরু হয়েছিল সফর মাসের শেষ কয়েক রাত থাকতে, অথবা রবিউল আউয়াল মাসের শুরু থেকে। (ইবনু হিশাম, আস-সীরাহ আন- নববিয়্যাহ ৪/২৮৯)”
বুখারী সংকলিত হাদিসে আয়েশা (রাঃ) বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন আমার ঘরে প্রবেশ করলেন তখন তিনি বেশ অসুস্থ ছিলেন। তিনি বললেন,‘ তোমরা আমার উপরে ৭ মশক পানি ঢালো। যেন আমি আরাম বোধ করে লোকজনদের নির্দেশনা দিতে পারি। তখন আমরা তাঁর শরীরে পানি ঢাললাম। এরপর তিনি সবাইকে নিয়ে নামাজ আদায় করলেন এবং সবার উদ্দেশ্যে কিছু কথা বললেন।” (সহীহ বুখারী ১/৮৩, ৪/১৬১৪, ৫/২১৬০)
প্রতিক্ষণ/এডি/জেডএমলি